ড. মিহির কান্তি মজুমদার   2021-05-19  
করোনার বৈশ্বিক মহামারি প্রতিরোধ এবং নিরাময়ে ভিটামিন-ডি
রোগের নাম কোভিড-১৯। কিন্তু ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে এ রোগের ভাইরাস করোনার নামে। যদিও করোনা প্রজাতির ৪টি ভাইরাসের সাথে আমরা বসবাস করছি দীর্ঘদিন ধরে। সাধারণ সর্দি জ্বর, ঠান্ডা লাগার সাথে সম্পর্কিত এ ৪টি ভাইরাস করোনা প্রজাতির হলেও নাম কখনও প্রচার হয়নি, কেউ জানতেও চায়নি। করোনা প্রজাতির বর্তমান ভাইরাস বৈশ্বিক ম
হামারি কোভিড রোগ ও মৃত্যুর মিছিল তৈরী করায় ভাইরাসের নামেই এ মহামারি আতঙ্কের সাথে পরিচিতি পেয়েছে। এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ প্রতিরোধমূলক অনেক কার্যক্রম বিশ্বব্যাপী ব্যবহৃত হচ্ছে। ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও ট্রায়ালে নিয়োজিত আছে বিশ্বসেরা অনেক গবেষণা সংস্থা। প্রতিনিয়ত চলছে বহুমাত্রিক গবেষণা। যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ভাইরাস রিসার্স সেন্টার কর্তৃক পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন-ডি র মারাত্মক স্বল্পতার সাথে কোভিড-১৯ রোগ, রোগের তীব্রতা ও মৃত্যুর দৃশ্যমান সম্পর্ক আছে। ইউরোপের ৮টি দেশের তথ্যের উপর ভিত্তি করে পরিচালিত এ গবেষণায় দেখা গিয়েছে এ রোগে মৃতদের মধ্যে শতকরা ৫৮ জনের ভিটামিন-ডি মারাত্মক স্বল্পতা ছিল।আমেরিকান সোসাইটি ফর বোন এন্ড মিনারেল রিসার্চ এর গবেষণায় প্রতীয়মান হয়েছে যে বয়স্ক লোক যারা ভিটামিন-ডি স্বল্পতায় ভুগছেন, তাদের মধ্যে এ মহামারির আক্রান্তের হার, রোগের তীব্রতা এবং মৃত্যুর হার অনেক বেশি। ইতালির টহরাবৎংরঃু ড়ভ ঝরবহধ তাদের গবেষণা পত্রে উল্লেখ করেছে কোভিড-এ আক্রান্ত হয়ে সারা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, তাদের মধ্যে ভিটামিন-ডি র স্বল্পতা আনুপাতিক হারে বেশি এবং যাদের আইসিইউতে নিতে হয়েছে, তাদের মধ্যে ভিটামিন-ডি স্বল্পতা অত্যন্ত বেশি। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে কোভিড আক্রান্ত রোগী ভিটামিন-ডি গ্রহণ করলে রোগের তীব্রতা ও মৃত্যুর আশঙ্কা অনেক হ্রাস পায়।
করোনা সৃষ্ট মহামারি এবং ভিটামিন-ডি নিয়ে বিভিন্ন দেশে গবেষণা চলছে দ্রুত গতিতে। ভিটামিন-ডি সংশ্লিষ্ট এসব গবেষণা প্রতিবেদন এটাই প্রমাণ করে যেসব দেশে ভিটামিন-ডি’র স্বল্পতা বেশী, সে সব দেশে এ রোগের সংক্রমণ, তীব্রতা ও মৃত্যুর হার বেশী। ভিটামিন-ডি একটি অন্যতম অণুপুষ্টি হলেও এর বহুমাত্রিক উপকারিতা আছে। ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়াম ও ফসফেট শোষণের প্রধান নিয়ামক। অস্ট্রেলিয়ার পার্থে অবস্থিত ‘ডিপার্টমেন্ট অব রেস্পেরেটরি মেডিসিন’ কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায় শরীরের হাড়, দাঁত ও মাংশপেশীর সুরক্ষায় ভিটামিন-ডি অদ্বিতীয়। হাড় ক্ষয় রোধ, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার ও অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে ভিটামিন-ডি’র উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। ভিটামিন-ডি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং ফুসফুস ও শ্বাসসতন্ত্রের সুরক্ষায় অনন্য অবদান রাখে। শীতকালে রৌদ্রের তীব্রতা এবং বিকিরণের সময়কাল কম থাকায় পৃথিবীর সকল দেশে ভিটামিন-ডি’র স্বল্পতা একটু বেশি থাকে। সে কারণে শীতকালেই সর্দি-জ্বর ও শ্বাস তন্ত্রের রোগের মাত্রা আনুপাতিক হারে সব দেশেই বেশি।
শরীরে ভিটামিন-ডি র প্রধান উৎস হচ্ছে সূর্যালোক। সূর্যালোক দেহের ৮০ থেকে ৯০ ভাগ ভিটামিন-ডি র যোগান দেয়। খাবার উৎস থেকে আসে অবশিষ্ট অংশ। মাছ বিশেষ করে চর্বিযুক্ত ও সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাংস ও মাশরুম থেকে ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। ভূ-পৃষ্ঠে কোন স্থানের অবস্থানের সাথে ভিটামিন-ডি খুবই সম্পর্কিত। দেশ বা অঞ্চলের অবস্থানের অক্ষাংশ যত বেশি, সে দেশে ভিটামিন-ডি র প্রাপ্যতা তত কম। রৌদ্রের যে দৃশ্যমান আলো আমরা দেখি, তার চেয়ে কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি শরীরের ত্বকের অভ্যন্তরস্থ কোলেস্টেরল জাতীয় উপাদানের সাথে বিক্রিয়া করে ভিটামিন-ডি তৈরী করে। আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। অপেক্ষাকৃত বেশী তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে রশ্মিকে আল্ট্রাভায়োলেট-এ এবং একটু কম তরঙ্গ দৈর্ঘ্যরে রশ্মিকে আল্ট্রাভায়োলেট-বি হিসেবে ভাগ করা হয়েছে। আল্ট্রাভায়োলেট-এ রশ্মি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কাজেই শরীরের ত্বকে আল্ট্রাভায়োলেট-এ রশ্মির বিকিরণ রোধ করার জন্য ত্বকের নিচে মেলানিন নামক পদার্থ তৈরী হয়। আফ্রিকা এবং এশিয়ার উষ্ণ এলাকায় মানুষের ত্বকের নীচে আল্ট্রাভায়োলেট-এ রশ্মির বিকিরণ রোধে মেলানিন সৃষ্টির কারণে মানুষের রঙ কালো, বাদামী বা হালকা বাদামী হয়। শরীরে এ মেলানিনের উপস্থিতির কারণেই ত্বকের পাশাপাশি চুল ও চোখের রঙ কালো হয়।
আল্ট্রাভায়োলেট-বি রশ্মি ত্বকের অভ্যন্তরস্থ কোলেস্টেরলের সাথে বিক্রিয়া করে ভিটামিন-ডি তৈরী করে। ত্বকের প্রকার ভেদে এ রশ্মি শরীরে ৪ থেকে ৭ মিনিটে ১০০০ ওট (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) ভিটামিন-ডি তৈরী করে। একজন মানুষের শরীরে দৈনিক বয়স ভেদে ভিটামিন-ডি’র অনুমোদিত প্রয়োজনীয় মাত্রা ৪০০ থেকে ৮০০ ইউনিট বা ১০ থেকে ১৫ মাইক্রোগ্রাম। ইউরোপ বা অন্য অঞ্চলে যেখানে কম বা তীর্যকভাবে সূর্যালোক পতিত হয়, সেখানে আল্ট্রাভায়োলেট- এ রশ্মি প্রায় থাকেনা বিধায় মানুষের ত্বকের নীচে মেলানিন তৈরী হয়না। সে কারণে তাদের ত্বক, চোখ ও চুলের রঙ এ ভিন্নতা আছে। আল্ট্রাভায়োলেট-বি রশ্মি ইউরোপ বা এরূপ অঞ্চলে কম আসে বিধায় সেখানে সূর্যাস্নান একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। শীতকাল ছাড়া অন্য সময়ে কম দৈর্ঘ্যরে কাপড় পড়ে শরীরের সূর্যালোক লাগানোর স্থান বেশি রাখা, মাংস, ডিম, মাশরুম জাতীয় খাবার গ্রহণের প্রচলনও সেখানে বেশি। এ ছাড়া সে সব দেশে দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, সয়া দুধ, চা, কোমল পানীয় এবং রুটি ও শস্যদানা থেকে প্রস্তুত খাদ্য, তেল ইত্যাদির সাথে ভিটামিন-ডি মিশিয়ে দেয়া হয়। আমাদের দেশে যেমন লবণে আয়োডিন এবং সয়াবিনে ভিটামিন-এ মিশ্রিত অবস্থায় সরবরাহ করা হয়। তাছাড়া, চালের মধ্যেই ভিটামিন-এ, বি১, বি২, ফলিক এসিড, জিংক এবং আয়রণ রাখার জন্য সরকারের উদ্যোগ আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উক্ত ৬টি অণুপুষ্টি সম্বলিত চাল তৈরী করে সাধারণ চালের সাথে মিশিয়ে পুষ্টি চাল (ফরটিফাইড রাইস) তৈরী করা হয়। সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি, ভিজিডি এবং ঢাকা শহরের ওএমএস এর চালের মাধ্যমে পুষ্টি চাল বিতরণ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত বিরি-৬২, বিরি-৬৪ ও বিরি-৭৪ জাতের ধানে জিংক এবং বিরি-৮৪ জাতের ধানে জিংক ও আয়রণ আছে। কিন্তু উক্ত জাতের নামে ধান বাজারজাত হয়না এবং জন সচেতনতার অভাবে জিংক, আয়রণ বা ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এ চালের আবাদ ও বিপণন কম। কিন্তু শরীরে ভিটামিন-ডি’র মাত্রা সঠিক রাখার জন্য এদেশে এসব উদ্যোগের প্রয়োজন নেই। যেহেতু শরীরের চাহিদার প্রায় ৮০ থেকে ৯০% ভিটামিন-ডি সূর্যালোক থেকে পাওয়া যায় এবং মাত্র কয়েক মিনিটের সূর্যালোক এ চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া, ভিটামিন-ডি সমৃদ্ধ মাছ আমাদের আমিষের প্রধান উৎস। কাজেই, এ দেশে শস্যদানা, তেল বা দুধে ভিটামিন-ডি মিশানোর কোন প্রয়োজন থাকেনা। তবে আমরা উন্নয়নের সাথে শরীরের পোষাকের দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করে সূর্যালোক লাগার স্থান কমিয়েছি। একটু ফর্সা হওয়ার বা থাকার লোভে শরীরে রোদ লাগার বস্তু ব্যবহার বৃদ্ধি করেছি। ফলে আমাদের উন্নয়ন বৃদ্ধির সাথে সাথে ভিটামিন-ডি র স্বল্পতা ঘটছে কি-না তা পুষ্টি গবেষকবৃন্দ বলতে পারবেন।
সূর্যালোক যেহেতু ভিটামিন-ডি র যোগানের প্রধান উৎস, কাজেই বিষুবরেখা থেকে দূরত্ব এবং সূর্যালোক প্রাপ্তির সাথে কোন স্থানের মানুষের ভিটামিন-ডি লেভেলের তারতম্য দেয়া যায়। সাথে আছে খাদ্যভ্যাস, সূর্যাস্নানের অভ্যাস, পোষাক, সূর্যালোক নিরোধক বিভিন্ন বস্তুর ব্যবহার, ব্যক্তির বয়স, ত্বকে মেলানিনের উপস্থিতি ইত্যাদি। সারা বিশ্বে স্থান ভেদে ৩০ থেকে ৮০% মানুষের মধ্যে ভিটামিন- ডি’র স্বল্পতা আছে। এটি একটি বড় জনস্বাস্থ্য সমস্যা। বিষুবরেখার পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে সূর্যালোকের প্রাপ্যতা ও তীব্রতা বেশী। কাজেই, এ সকল দেশসমূহের মানুষের মধ্যে ভিটামিন-ডি ঘাটতি থাকার কথা নয়। কিন্তু সমীক্ষায় দেখা গেছে থাইল্যান্ডের মানুষের মধ্যে ভিটামিন-ডি স্বল্পতা সিঙ্গাপুরের চেয়ে কম। যদিও সিঙ্গাপুর বিষুব রেখার আরও সন্নিকটে এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ। ইথিওপিয়ায় ৪২% (শহরে ৬১.৮%, গ্রামে ২১.২%), ভারতে ৭০% এবং বাংলাদেশে প্রায় ৬০% লোক ভিটামিন-ডি স্বল্পতায় ভূগছে বলে বিভিন্ন সমীক্ষা হতে প্রতীয়মান হয়। এসব দেশে সূর্যালোকের অভাব নেই। গ্রামাঞ্চলে ভিটামিন-ডি’র স্বল্পতা একটু কম হলেও শহরে অনেক বেশী। ত্বকের মেলানিন যেমন এশিয়ার উষ্ণ অঞ্চল ও আফ্রিকার মানুষের জন্য ভালো, তেমনি এসব অঞ্চলের মানুষ যখন ইউরোপ বা শীত প্রধান দেশে বসবাস করেন, তখন তাদের জন্য তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। কারণ সূর্যালোক ঐসব দেশে কম বিধায় মেলানিনের কারণে শরীরে আল্ট্রাভায়োলেট-বি পর্যাপ্ত প্রবেশ করে না, তাই ভিটামিন-ডি স্বল্পতার মাত্রা তাদের মধ্যে অনেক বেশি। করোনা আক্রমণে সেখানে তাদের মধ্যে মৃত্যুর হারও বেশী। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শেতাঙ্গ মানুষের চেয়ে সেখানে বসবাসকারী কৃষ্ণাঙ্গ ও এশিয়া অঞ্চলের মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এ মৃত্যুর হার ২.৫ গুণ বেশি। বয়স্ক লোকের ত্বকের কোষ সূর্যালোক পেলেও কার্যক্ষমতা কম থাকার কারণে প্রয়োজনীয় ভিটামিন-ডি তৈরী করতে পারেনা। এ কারণে বয়স্ক লোকের মধ্যে ভিটামিন-ডি র বেশি ঘাটতি থাকে। সে কারণেই শহরের বয়স্ক লোকের মধ্যে এ মহামারির প্রকোপ ও মৃত্যুর হার বেশি বলে ধারণা করা হয়।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এবং মৃত্যুর হার এ দেশে এখন নি¤েœর দিকে। মানুষের মধ্যে সচেতনতা যেটুকু বেড়েছে, তার চেয়ে বেশি বেড়েছে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সংক্রমণ হলেও রোগের লক্ষণ দেখা যায়নি এমন জনগণের সংখ্যা বাড়ছে দিন দিন। জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। এর মধ্যে আসন্ন শীতকালে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ আসবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ আশঙ্কার কারণও হতে পারে ভিটামিন-ডি স্বল্পতা। শীতকালে সূর্যালোকের সময়কাল ও তীব্রতা অনেক কম। তার উপর শীতের কাপড়ের জন্য শরীরে সূর্যালোক পড়ার উন্মুক্ত স্থান কম থাকে। এ কারণে শীতকালে সারাবিশ্বে ভিটামিন-ডি’র স্বল্পতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সুযোগে বিভিন্ন ভাইরাস/ব্যাকটেরিয়া শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। করোনা ভাইরাসেরও প্রথম আক্রমণ স্থল এ শ্বাসতন্ত্র ও ফুসফুস। শীতকালে পৃথিবীতে যেসব দেশে ভিটামিন-ডি স্বল্পতা সবচেয়ে বেশী, সে তালিকায় ইতালির পরেই আছে স্পেন। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ইতালিতে শীতকালে শুরু হয়েছিল বলেই সেখানে শুরুতেই মৃত্যুর হার ছিল আশঙ্কাজনক। আমাদের দেশে বেশি সংক্রমণ শুরু হয় এ বছরের মার্চ মাসের শেষে। তখন শীতকাল ছিলনা বিধায় সংক্রমণ, তীব্রতা ও মৃত্যু সবকিছুই নিয়ন্ত্রণে ছিল। আগামী শীতের আগেই মানুষের মধ্যে কোভিড রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বেড়ে যাবে। কাজেই, করোনা সংক্রমণের ঢেউ থেকে আত্মরক্ষার জন্য শরীরে সূর্যালোক লাগানো, বয়স্ক লোকের মধ্যে ভিটামিন-ডি স্বল্পতা দূর করা এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এখন খুবই জরুরী। তবে ভিটামিন-ডি স্বল্পতা রোধে ঔষুধ খেতে হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তা খাওয়া বাঞ্চনীয়।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশের প্রবৃদ্ধি ঘটছে আশেপাশের সকলকে ছাপিয়ে। সময় এসেছে জনগণের পুষ্টির অবস্থা উন্নয়নে আরও কিছু উদ্যোগ ও আর্থিক বিনিয়োগ বৃদ্ধির। দ্রুতগতির এ উন্নয়নের রাস্তায় ৬০% ভিটামিন-ডি ঘাটতি নিয়ে আমাদের এখন চলার কোন সুযোগ নেই। আশা করি সংশ্লিষ্ট সকলে এ ঘাটতি পূরণে সচেষ্ট হবেন। আর করোনার শীতকালীন ঢেউ প্রতিরোধে ভিটামিন-ডি র ঘাটতি পূরণ হতে পারে অন্যতম প্রধান কর্মসূচি।